Saturday, July 6, 2013

MAMTA BANERJEE AND MEDIA: কোনও সংবাদমাধ্যমের মৃদু সমালোচনাও সহ্য করতে পারেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি চান সমস্ত সংবাদমাধ্যমই যেন তাঁর স্তাবকতা করে। সেই কারণেই চিট ফান্ডের অর্থের ওপর ভিত্তি করেই মুখ্যমন্ত্রী গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন বাংলার মিডিয়া সাম্রাজ্য। ক্ষমতায় আসার পর তিনি সেইসব তোষামুদে মিডিয়ার পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন সরকারী ক্ষমতা এবং অর্থকে ব্যবহার করে। প্রচলিত নিয়মকানুনের পরোয়া না করে মুখ্যমন্ত্রী সরকারী পাঠাগার থেকে প্রতিষ্ঠিত এবং বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রগুলিকে বাদ দিয়েছেন।

ফতোয়া নাকচ

কোনও সংবাদমাধ্যমের মৃদু সমালোচনাও সহ্য করতে পারেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তিনি চান সমস্ত সংবাদমাধ্যমই যেন তাঁর স্তাবকতা করে। সেই কারণেই চিট ফান্ডের অর্থের ওপর ভিত্তি করেই মুখ্যমন্ত্রী গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন বাংলার মিডিয়া সাম্রাজ্য। ক্ষমতায় আসার পর তিনি সেইসব তোষামুদে মিডিয়ার পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন সরকারী ক্ষমতা এবং অর্থকে ব্যবহার করে। প্রচলিত নিয়মকানুনের পরোয়া না করে মুখ্যমন্ত্রী সরকারী পাঠাগার থেকে প্রতিষ্ঠিত এবং বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রগুলিকে বাদ দিয়েছেন। তার বদলে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল শাসক দলের স্তাবক তথা চিট ফান্ডের অর্থে চলা সদ্য প্রকাশিত কয়েকটি সংবাদপত্র। কলকাতা হাইকোর্টও স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিয়েছে সরকারী পাঠাগারে বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রগুলিকে বাদ দেওয়ার কোনও এক্তিয়ার সরকারের নেই। সরকারকে অবিলম্বে এই আদেশ প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সরকার যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেআইনি পথে চলছে তার আরেকটি উদাহরণ হলো পাঠাগার সংক্রান্ত মামলায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের আদেশ। তৃণমূল পরিচালিত সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে চাইছে। তৃণমূল কংগ্রেস সরকারী ক্ষমতাকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করে সমালোচক সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করতে চায়। এজন্য প্রকাশ্যে মঞ্চে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমের নাম ধরে হুমকি দিতে পিছপা হন না মুখ্যমন্ত্রী নিজে। 

এই মুখ্যমন্ত্রীই রেলমন্ত্রী থাকাকালীন সংবাদপত্রে রেলের অনুষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিয়েছেন কোটি কোটি টাকার। রেল মন্ত্রকের বিজ্ঞাপনের প্রভাবে সংবাদমাধ্যমকে ব্যবহার করেছেন তাঁর ভাবমূর্তি তৈরিতে। বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত দু-একটি বাদে সব ব্যবসায়িক সংবাদমাধ্যমকেই নিজের পক্ষে রাখতে পেরেছিলেন। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল নেত্রী চেয়েছিলেন সরকার যাই করুক না কেন কোনও সংবাদমাধ্যমই তাঁর সমালোচনা করতে পারবে না। কিন্তু পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণের ঘটনার পর থেকে ব্যবসায়িক সংবাদমাধ্যমও বাধ্য হয় সরকারের সমালোচনার পথে যেতে। সেই সময় থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর অসহিষ্ণুতার সূত্রপাত। সরকারী পাঠাগার থেকে মুখ্যমন্ত্রী বাদ দিয়েছিলেন তাঁর অপছন্দের সংবাদপত্রগুলিকে। তেমনই তিনি প্রকাশ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন, কোন চ্যানেল দেখবেন আর কোন চ্যানেল দেখবেন না। রাজ্য সরকারের বিজ্ঞাপনের নীতি তিনি স্থির করেছেন সমর্থন বা সমালোচনার ভিত্তিতে। বিরোধী দলের মুখপত্র বলে গণশক্তির বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ২০১১ সালের মে মাস থেকে। গণশক্তি সম্পর্কে এই সরকারী নীতি সম্প্রতি সমালোচিত হয়েছে আদালতে। কোনও রকম তথ্য প্রমাণ ছাড়াই মুখ্যমন্ত্রী একজন সাংবাদিকের নাম করে তাঁকে খুনের চক্রান্তকারী বলে অভিযোগ এনেছেন। অথচ পুলিস রিপোর্টে তার কোন উল্লেখ মেলেনি। ভিত্তিহীন হুমকি দিয়ে সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যমের মুখ বন্ধ রাখতে চান মুখ্যমন্ত্রী। সাংবাদিক সম্মেলনে অস্বস্তিকর কোন প্রশ্নের জবাব দিতে চান না মুখ্যমন্ত্রী। শাসক দলের মদতে চিট ফান্ড কেলেঙ্কারি হয়েছে। লক্ষ লক্ষ রাজ্যবাসী প্রতারিত হয়েছেন। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। খুন, অপহরণ, ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্কিত রাজ্যবাসী। জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, কৃষক ঋণের দায়ে আত্মহত্যা করছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। ছাত্র মারা গেছে পুলিস হেফাজতে। কিন্তু কোন সংবাদমাধ্যম এইসব সংবাদ প্রকাশ করলেই তার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করা হচ্ছে। যদিও আইনের আদালতে এবং মানুষের আদালতে এই ফতোয়া নাকচ হয়ে যাচ্ছে।

- See more at: http://ganashakti.com/bengali/news_details.php?newsid=43261#sthash.FHL7zQMP.dpuf

No comments:

Post a Comment